পঞ্চগড়ে চা বোর্ডের ‘টি সফট’ অ্যাপের উদ্বোধন
পঞ্চগড়, ১৩.০৯.২০২৩খ্রি: চা চোরাচালান রোধ, রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত এবং সঠিক তথ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্ভাবিত ‘টি সফট’ নামে একটি সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এটি উন্মুক্ত করা হয়। এর ফলে সমতলের চা শিল্পে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসক মো: জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সফটওয়্যার ও অ্যাপটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চায়ের সঠিক তথ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে ইনোভেশন কর্মপরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ‘টি সফট: স্মার্ট টি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে সফটওয়্যার ও অ্যাপটি চালু করা হলো। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে চা চোরাচালান রোধ এবং সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত হবে।”
উল্লেখ্য, এ সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপটির উদ্ভাবক বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন। সফটওয়্যারটির ওয়েব ভার্সন www.teasoft.com.bd এবং মোবাইল অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে।
সফটওয়্যারটির মাধ্যমে পঞ্চগড়ে চা বাগান ও চাষিদের কাঁচাপাতা বিক্রি, কারখানা কর্তৃক চাষিদের কাছ থেকে কাঁচা পাতা ক্রয়, কারখানায় তৈরি চা ফরম-ক যথাযথ পূরণ করে ভ্যাট অফিসে জমা দেওয়া, স্থানীয় ভ্যাট অফিস কর্তৃক চালান ফরম অনুমোদন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউনিক কিউআরকোড ও বারকোড সমৃদ্ধ ডেসপাস চালান সংগ্রহ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সঠিকতা যাচাই, নির্ধারিত পরিবহনে ডেসপাস করা চা সংশ্লিষ্ট ওয়্যারহাউজে পাঠানো, ওয়্যারহাউজ কর্তৃক ওই চা প্রাপ্যতা নিশ্চিকরণ করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিয়াজ উদ্দিন, চা বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মাদ রুহুল আমীন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (বাণিজ্য) মুহাম্মদ মদহুল কবীর চৌধুরী, উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ক্ষুদ্রা চাষি ও কারখানা মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, ক্ষুদ্র চা চাষি সমবায় সমিতির প্রতিনিধি, ব্রোকার হাউজ ও ওয়্যারহাউজ মালিক, চা ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।