Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ চা বোর্ড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ মে ২০১৭

শিলাবৃষ্টি মোকাবেলায় চা চাষীদের করণীয়


প্রকাশন তারিখ : 2017-05-11

বৈরি আবহাওয়া যেমন-খরা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি চায়ের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ফলে চায়ের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। শিলাবৃষ্টি একটি অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা সরাসরি চায়ের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। প্রতিনিয়তই উত্তরবঙ্গসহ বিভিন্ন চা আবাদী এলাকা এ দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে। সাধারণত মার্চ-মে মাসে এই শিলাবৃষ্টির আবির্ভাব দেখা দেয়। দিন দিন এই শিলাবৃষ্টির প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। বাংলাদেশের চা আবাদীতে শিলাবৃষ্টির কারণে চা গাছ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছাটাইকৃত চা গাছ এবং বাচ্চা চা গাছ শিলাবৃষ্টিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষকরে অপেক্ষাকৃত কম ছায়াগাছ বা ছায়াগাছবিহীন চায়ের সেকশন শিলাবৃষ্টিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে কখনও পুরো গাছটি পাতাবিহীন হয়ে পড়ে। শিলাবৃষ্টির সময় বাতাসের তাপমাত্রা উপর্যুপরি বেড়ে যায়। শিলাবৃষ্টির কারণে চা গাছের শাখা-প্রশাখা কিংবা বাকল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিলাবৃষ্টি দ্বারা গাছের ক্ষতস্থানে ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমন হতে পারে। বিশেষকরে ম্যাক্রোফোমা ছত্রাকজনিত ব্রাঞ্চ ক্যাংকর রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যেতে পারে।

শিলাবৃষ্টিতে আক্রান্ত সেকশনের এক/দুই রাউন্ড পাতা চয়ন বন্ধ রাখতে হবে এবং শিলাবৃষ্টিতে ভেঙ্গে যাওয়া কিশলয় ও শাখা-প্রশাখা সরিয়ে ফেলতে হবে। শিলাবৃষ্টিতে আক্রান্ত চা গাছ ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বিটিআরআই অনুমোদিত যে কোন কন্টাক্ট ছত্রাকনাশক যেমন-কুপ্রাভিট অথবা সানভিট বা ইমিভিট ৫০ ডব্লিউপি ৥ ২.৮ কেজি হেক্টর প্রতি ১০০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভাল করে স্প্রে করে দিতে হবে। এটি শিলাবৃষ্টি দ্বারা গাছের ক্ষতস্থানে ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমনকে প্রশমিত করবে। সিস্টেমিক ছত্রাকনাশক যেমন-কার্বেন্ডাজিমও ব্যবহার করা যেতে পারে। পর্যবেক্ষনে দেখা যায় যে, সুবিন্যস্ত স্থায়ী ছায়াগাছ এলাকায় শিলাবৃষ্টি চা গাছের ক্ষতির মাত্রা অনেক কম। তাই স্থায়ীভাবে শিলাবৃষ্টি মোকাবিলায়/প্রতিরোধের জন্য চা আবাদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সঠিক স্থায়ী ছায়াগাছ যেমন-আলবিজিয়া অডোরাটিসিমা, আলবিজিয়া  লেবেক, ডেরিস রোবাস্টা প্রজাতির ছায়াগাছ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থায়ী ছায়াগাছ লাগাতে না পারলে গ্রীন ক্রপ জাতীয় গাছ যেমন- ক্রোটালারিয়া গাছ লাগানো যেতে পারে।